Wednesday, March 7, 2018

সিরিয়ায় মুসলমানদের লাশের উপর আসাদ সরকারের ক্ষমতা ও অস্ত্র ব্যবসা

মো:সাব্বির হোসেন,নরসিংদী খবর:

সিরিয়ার সরকার প্রধান বাসার আল আসাদ ক্ষমতায় থাকার জন্য তার বাহিনী দিয়ে হত্যাকান্ড চালাচ্ছে।জানুয়ারী ১৮তারিখ থেকে এই পর্যন্ত প্রায় ৬শত মানুষকে হত্যা করেছে।এদের মধ্যে ১৫০ জনের উপর শিশুকে হত্যা করেছে।একজন রাষ্ট্র প্রধান ক্ষমতায় থাকার জন্য দীর্ঘ ৭বছরে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে।২০১১সালের মার্চে ১০থেকে ১২জন যুবক আসাদ বিরোধী একটি লেখা দেয়ালে লেখেন।আসাদ বাহিনী তখন তাদের কে গ্রেফতার করে নিয়ে তাদের উপর নির্যাতন চালায়।এই নির্যাতনের প্রতিবাদে সেদেশে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হলে আসাদ বাহিনী মিছিলে গুলি চালায়।তখন থেকে সারা দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।তিনমাস লাগাতার বিক্ষোভ চলাকালে ১৬হাজার মানুষকে হত্যা করে আসাদ বাহিনী।এক পর্যায়ে সে দেশের সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য এই হত্যাকান্ড চালাতে চাচ্ছে না।তখন থেকে সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য চলে যায় বিদ্রোহীদের পক্ষে।বিদ্রোহীদের একক নেতৃত্ব না থাকায় তারা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।বিভক্ত নেতৃত্বে সরকারী বাহিনীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করে।এরই ফাঁকে এখানে জড়িত হয়ে পড়ে আই এস।আই এস জড়িত হওয়ার কারনে কয়েকটি দেশ একত্রিত হয়ে আই এস'র উপর হামলা করে সিরিয়াতে।যখন আই এস কে তাড়িয়ে দেওয়া হয় তখন আবার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আসাদ বাহিনীর লড়াই শুরু হয়ে যায়।এক পর্যায়ে সিরিয়াতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।যাকে যেখানে পাচ্ছে সেখানেই মারতেছে,লুটতরাজ করতেছে।সেই মুহুর্তে বিদ্রোহীরা সরকারী বাহিনীর সাথে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।এবং সিরিয়ার কিছু জায়গা বিদ্রোহীদের দখলে চলে যায়।আর বিদ্রোহীদের বিপক্ষে তিন শক্তিধর রাষ্ট্র রাশিয়া,চিন ও ইরান আসাদের পক্ষ নেয়।এমন পরিস্থিতিতে অস্ত্র ব্যবসার একটা পথ খুলে গেল।যেমন আমেরিকার কাজ হলো যখন পৃথিবীর কোন রাষ্ট্র হাঙ্গামা শুরু হয় তখন তাদের অস্ত্র বিক্রি বাড়বে।ঠিক তদ্রুপ পৃথিবীতে প্রতিবছর দুই একটি দেশে যুদ্ধ লেগে থাকে।তার রাজনৈতিক চাল হচ্ছে প্রথমে আমেরিকা তারপর রাশিয়া কারন পৃথিবীতে বেশি অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ তারা।এদিকে আসাদের পক্ষে অস্ত্র দিচ্ছে রাশিয়া আর বিদ্রোহীদের অস্ত্র দিচ্ছে আমেরিকা। তাহলে তাদের ব্যবসা কিন্তু ঠিক আছে।মাঝখানে মুসলমান ভাই বোনদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে।মুসলিম দেশের যত নেতারা আছেন তারা একত্রিত হতে পারছেনা।দেখা যায় সৌদিআরব একদিকে কাতার একদিকে,তুরস্ক একদিকে ইরান একদিকে।যদি মুসলিম দেশ একত্রিত হতো যেভাবে আরবলীগ গঠন করা হয়েছে।সবদেশের সেনাবাহিনীরা কোন দেশের বিপক্ষে একত্রিত হয়ে আক্রমন করবে তাদের দেশকে রক্ষার স্বার্থে তাদের মুসলমানদের স্বার্থে।মিয়ানমার যখন মুসলমানদের উপর হত্যাযঙ্গ বর্বরতা চালিয়েছিল।তখন মুসলমানরা বিবৃতি,আর্থিক সাহায্য,ও আশ্রয় দিয়ে কাজ শেষ করেন।যেমন যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে হামলা করেছে,ফিলিস্তিন হামলা করেছে আরো অনেক জায়গায় হামলা করেছে এবং একত্রিত হয়ে সমর্থন করেছে।এখন যদি ইসলামী দেশগুলো একত্রিত হয়ে সিরিয়া আসাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় তাহলে দেখা যাবে অন্য কোন ইহুদি রাষ্ট্র,খ্রিষ্টান রাষ্ট্র মুসলিম দেশের উপর আক্রমন ও নির্বিচারে হত্যাকান্ড বর্বরতা চালাতে পারবেনা।


শেয়ার করুন

0 comments: