Wednesday, December 5, 2018

আজ ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস

মোঃ সাব্বির হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার।।
আজ ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ৯ দিন বাকি থাকতে দেশজুড়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাক হানাদার বাহিনী।এরই মধ্যে তৎকালীন কালীগঞ্জ থানার ঘোড়াশালের আটিয়াগাঁও গ্রামের আবুল কাসেমের বাড়িতে হানাদার বাহিনী সর্বশেষ হত্যাকাণ্ডটি চালায়।আজও এলাকাবাসী বিজয়ের মাস এলে গভীর শোকে বিহ্বল হয়ে পড়ে।
ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ভাগদী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিসুল হক ও স্থানীয়রা জানান,১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে আবুল কাসেমের বাড়ির দুই দিক থেকে ঘেরাও করে আক্রমণ শুরু করে পাকহানাদার এবং রাজাকার বাহিনী।এ সময় তার বাড়িসহ আশে পাশের আরো ১০/১২টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তখন আবুল কাসেম তার পরিবার নিয়ে ঘরের ভেতর একটি মাটির গর্তে লুকিয়ে থাকেন।পালিয়ে থাকা ৩২ নারী- পুরুষ শিশুসহ একটি মাটির ঘরের দরজা ভেঙ্গে হানাদার বাহিনী তাদের উঠানে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে দেয়।আচমকা নরপিশাচদের আগ্নেয়াস্ত্র গর্জে ওঠে।বাড়ির উঠানেই ঢলে পড়ে ১৮ নারী-পুরুষ-শিশু।গুরুতর আহত হন ৬ জন।এমন পরিস্থিতে পালিয়ে থাকা আবুল কাসেম মাটির গর্তে অজ্ঞান হয়ে যান।
সেদিন শহীদ হন মোকছেদ আলী,মালাবঙ্,শাহাজাহান,রহম আলী, আ. হেকিম, হযরত আলী, আম্বিয়া খাতুন, মজিদা, শিশুপুত্রসহ আয়শা, শাহাজউদ্দিন শাহা, নেহাজউদ্দিন চুইল্লা,নেজু প্রমুখ।
স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর এসে ৪৬ বছর শুরু পূর্ণ হওয়ার আগেই মৃত্যুবরণ করেন আবুল কাশেম যার বাড়িতে সর্বশেষ হত্যাকান্ডটি চালিয়েছিল পাক হানারদার বাহিনী। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৭ বছরে এসেও শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
ঘোড়াশাল পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী মো.নুরুল ইসলাম বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসন ও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় সুদৃষ্টি কামনা করছি।

শেয়ার করুন

0 comments: