Wednesday, December 5, 2018

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মো.সাব্বির হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার।।
৫ ডিসেম্বর ইতিহাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ,গণতন্ত্রের মানসপুত্র বরেণ্য নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতে একটি হোটেল কক্ষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।ঢাকার হাইকোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে সমাহিত করা হয়।বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল সেই নেতৃত্বে ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারনে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট এক অবিস্মরণীয় বিজয় ঘটে।তিনি গণতান্ত্রিক নিয়ম ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।তাই সুধী সমাজে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’বলে আখ্যায়িত করেন।
এদেশের শান্তি প্রিয় গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দলনে পাকিস্তানী সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
তিনি ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেন। কেবল একজন রাজনৈতিক নেতাই নন, তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়কও। তার প্রচেষ্টায় ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়।
পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৮৯২ সালে এ বরেণ্য রাজনীবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জম্ম।তার পিতা ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা বিচারক স্যার জাহিদ।তাঁর কনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।আর ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর চলে যান না ফেরার দেশে।সেদিন থেকেই জাতি হারালো এক বরেণ্য রাজনীবিদকে।

শেয়ার করুন

0 comments: