Thursday, March 15, 2018

নরসিংদীর পলাশে মাকে অমানবিক নির্যাতন তার দুই ছেলে আটক

মো:সাব্বির হোসেন,
স্টাফ রিপোর্টার:নিজের মাকে মানসিক রোগীর পরিচয় দিয়ে তার উপর অমানবিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগে নরসিংদীর পলাশে দুই ছেলেকে আটক করেছে পলাশ থানা পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরির্দশক মো: গোলাম মোস্তফা অভিযোগকারী মা কুলসুম আক্তারের ছেলে বেলায়েত হোসেনকে আটক করে।একই ঘটনায় গতকাল বুধবার দুপুরে আরেক ছেলে আল-আমিনকে আটক করে পলাশ থানার এসআই মীর সোহেল রানা।
নির্যাতিত মা কুলসু
ম আক্তার বলেন,আমার চার ছেলে এক মেয়ে।বড় ছেলে মানসিক রোগী হওয়ায় স্বামীর ব্যবসার দায়িত্ব নেয় আমার ছেলে বেলায়েত ও আল-আমিন।ছোট ছেলে পড়া লেখা করছে,মেয়েকে কয়েক মাস আগে বিয়ে দেওয়া হয়।স্বামী মারা যাওয়ার পর আলমারি ভেঙে বাড়ির দলিল পত্র সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দুই ছেলে নিয়ে নেয়।পরে কয়েক মাস যাওয়ার পর আমাকে আলাদা করে দিয়ে আমার উপর প্রায় সময় নির্যাতন চালাতো।তারা আমার খাবারের বাজার সদাই ও বন্ধ করে দেয়।তাদের কিছু বললে আমাকে লাঠি নিয়ে মারতে আসে।এমনকি কয়েকবার আমার শরীরে আঘাত করেছে।যখন আঘাতের কারনে আমি চিৎকার করতে থাকি তখন আশে পাশের মানুষ ছুটে আসলে তারা আমি মানসিক রোগী বলে জানায়।
নির্যাতিতা নারীর মেয়ে তাজরিন আক্তার বলেন, বড় ভাই বেলায়েত আর আল-আমিন দীর্ঘদিন ধরে মায়ের উপর নির্যাতন করে আসছে।
মঙ্গলবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর বুধবার দুপুরে আল-আমিনকে পলাশ থানা পুলিশ নিয়ে গেলে তাদের দোকানের কর্মচারীরা ঘরের দরজা ভেঙে তাদের মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।পলাশ উপজেলার মানবাধিকার সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু বলেন,আমরা খবর পেয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখি কয়েক জন লোক কুলসুম আক্তারকে মারধর করছে।তারা হলো বেলায়েত আর আল-আমিনের দোকানের কর্মচারী।কুলসুম বেগমকে আমাদের আওতায় আনার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
অভিযুক্ত দুই ছেলে এই ঘটনা অস্বীকার করে বলেন,আমাদের মা মানসিক রোগী,তাই মানুষের কাছে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে যাচ্ছেন।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো: সাইদুর রহমান বলেন,তাদের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিত্বে তাদের আটক করা হয়।


শেয়ার করুন

0 comments: