Monday, June 25, 2018

পলাশে ইউএনও'র নির্দেশে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল শারমিন

মো.সাব্বির হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার :
নরসিংদীর পলাশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্রী শারমিন আকতার
রোববার রাত ১১টায় ঘোড়াশাল পৌর এলাকার কনের বাড়িতে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি'র নির্দেশে এ বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কনে শারমিন আক্তার (১২) করতেতৈল গ্রামের হেলাল উদ্দীনের মেয়ে এবং স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী।
ঘোড়াশাল পৌর কাউন্সিলর কামরল ইসলাম জানান,২৪ জুন রোববার রাতে স্কুলছাত্রী শারমিন আক্তারের সাথে পার্শ্ববর্তী শিবপুর উপজেলার ১৪ বছরের এক ছেলের সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।এমন খবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানতে পারেন।পরে বাল্য বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশনা দেন নির্বাহী কর্মকর্তা।রাত ১১টার দিকে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে আমি এ বিয়ে বন্ধ করে দেই।
পরের দিন সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নির্বাহী কর্মকর্তা করতেতৈলের ঐ বাড়িতে উপস্থিত হয়ে অভিভাবকের সাথে কথা বলে স্কুলছাত্রী শারমিন আক্তারকে বাল্য বিয়ে না দেওয়ার অঙ্গিকার করান।এবং পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ করে দেন।


এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি নরসিংদী খবরকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,বিষয়টি জানার পর এ বিয়ে বন্ধ করে দেই।জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অভিপ্রায় অনুযায়ী এবং সকলের সহযোগিতায় আগামী ২ মাসের মধ্যে পলাশ উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা যাবে।বাল্য বিয়ে রোধে প্রশাসন সবসময় তৎপর রয়েছে।পলাশ উপজেলাকে বাল্য বিয়ে মুক্ত করার লক্ষ্যে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।

শেয়ার করুন

0 comments: